তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো

Author : মৌরি মরিয়ম

List Price: Tk. 270

Tk. 216 You Save 54 (20%)

আজ অনেকদিন পর পুরোনো ডায়েরী টা খুলে বসেছে নিহিন। অভিমানে যা খোলা হয়নি বহুদিন। কলরবের প্রত্যেকটা চাহনির কথা লেখা আছে এই ডায়েরীতে, আছে নিহিনের প্রত্যেকটা দীর্ঘশ্বাস এর কথা। রাগ, অভিমান, অপমান ও দুঃখের জল গড়িয়ে পড়ছে নিহিনের চোখ থেকে। রাগটা আসলে কার উপর করা উচিৎ, কলরবের উপর নাকি বাবার উপর? নাকি অদৃষ্টের উপর? বুঝতেই পারছেনা সে।
দিনগুলোর কথা মনে আছে নিহিনের। আজ থেকে ১০ বছর আগের কথা। ক্লাস টেনে পড়ত তখন। আর কলরব পড়ত ইউনিভার্সিটির সেকেন্ড ইয়ারে। বয়সের ব্যাবধান টা নেহাত কম ছিলনা। তবুও প্রতিটা বিকেল নিহিনকে দেখার জন্য দুটি চোখ উদগ্রীব হয়ে থাকত পাশের বাসার বারান্দায়। প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত হত ও, কিন্তু আস্তে আস্তে ভাললাগাটা কিভাবে যেন চলেই এল। একটা সময় এল যখন নিহিনও অপেক্ষা করত সেই দুটি চোখে নিজেকে সমর্পণ করার জন্য। বৃষ্টি এলেই নিহিন ছাদে যেত ভিজতে, তা দেখে কলরবও যেত তার বাসার ছাদে। চোখে চোখ পড়তেই লজ্জা পেয়ে নেমে আসত নিহিন। নূপুর পায়ে ধুম ধাম চলার শব্দে কলরব টের পেত নিহিনের অস্তিত্ব। কলরবের গিটারের টুং টাং শব্দ যেন জানান দিত অপেক্ষমান দুটি চোখের হাহাকারের কথা।


কিন্তু কলরব এত ভীতুর ডিম ছিল যে দিনের পর দিন,মাসের পর মাস শুধু দেখেই গেছে ওকে,কিছু বলার সাহস পায়নি। নিহিনেরই বা কি দায় পড়েছে যে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যাবে! কিন্তু এসেছিল, সেই দিনটিও একদিন এসেছিল। নিহিনের জন্মদিনে গান গেয়ে নিহিনকে উইশ করেছিল কলরব। উপহার দিয়েছিল এক গাদা চকলেট আর বেলি ফুলের মালা। সংগে ছিল একটা বিশেষ উপহার.. চিকন একটা নূপুর যার একপাশে একটা হার্টশেপ সাদা পাথর। সেদিনই শুরু হয়েছিল দুজনের পথ এক হয়ে যাওয়ার।
নূপুর টা বের করল নিহিন, অনেক বছর পড়ে ছিল এই ড্রয়ারে। কালচে হয়ে গেছে, পায়ে পড়ল। প্রথমবার পরিয়ে দিয়েছিল কলরব। কি সাহসটাই না হয়েছিল ওর! ভাবলেই এখন গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। রাত বারটার পর টয়লেটে যেতে ভয় পেত যে মেয়ে, সেই মেয়ে কিনা ছাদের চাবি চুরি করে রাত ১ টার সময় ছাদে গিয়েছিল কলরবের সাথে দেখা করতে। দুটো বাসা অনেক কাছাকাছি ছিল। ছাদের দেয়াল টপকে এসে পড়েছিল কলরব।
তখন মোবাইল ছিল না নিহিনের। আর মোবাইলের প্রয়োজনও ছিল না অবশ্য। নিহিনের জানালা আর কলরবের বারান্দা তো ছিলই। রাতের পর রাত কেটেছে চোখে চোখ রেখে, হাজার কথার হাজার স্বপ্ন বুনে। মাঝখানে ছিল শুধু দুটো গ্রিলের বেড়ী। স্বপ্নের মত কেটেছিল সেই তিনটি মাস।
তারপর আর কি ঠিকই নিহিন একদিন ধরা পড়ে গেল বাবার কাছে। বাবা নিহিন কে বলেছিল, "যা হয়েছে ভুলে যাও। তুমি না জেনেই একটা ভুল করে ফেলেছ। ছেলেটা ভাল না, আমি খোঁজ নিয়েছি ওর ব্যাপারে আর কথাও হয়েছে ওর সাথে আমার।"বাবার কাছে এর বেশি আর কোন প্রশ্নের উত্তর পায়নি সেদিন নিহিন। তাকে ঘর চেঞ্জ করে অন্য ঘরে দেয়া হল। কলরব কে ফোন করে পেল না সে, মোবাইল বন্ধ। কলরবের বারান্দার দরজাটাও বন্ধ থাকত, ১০/১৫ দিন পর নতুন ভাড়াটিয়া এসে খুলেছিল সেই দরজা। কলরবের আর কোন খোঁজ পায়নি নিহিন। কেঁদে ভাসিয়েছিল অনেক রাত। অপেক্ষা করেছে অনেক দিন। তারপর অভিমানে, রাগে একসময় ভুলেও গিয়েছিল সবকিছু।
এভাবেই এগিয়ে চলছে গল্পটি.....!!!

Title তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো
Author মৌরি মরিয়ম
Publisher অধ্যয়ন
ISBN 9789848072455
Edition 1st Published, 2019
Number of Pages 136
Country Bangladesh
Language বাংলা
301790.png

মৌরি মরিয়ম

বর্তমান বাঙালি লেখক সমাজে জনপ্রিয় এক নাম মৌরি মরিয়ম। ১৯৯১ সালের ২৫ মে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় মৌরি মরিয়ম জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আজিজুল হক এবং মা মনজু বেগম। তিনি বেড়ে উঠেছেন রাজধানী ঢাকার শহরঞ্চলে। ধানমন্ডি গার্লস স্কুল থেকে ২০০৯ সালে মাধ্যমিক এবং বদরুন্নেসা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ২০১১ সালে। ২০১৫ সালে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। শৈশবকাল থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে মৌরির। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত গল্পের বই পড়তেন তিনি। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ তার। তার লেখক প্রতিভা জাগ্রত হয় স্কুলের ম্যাগাজিনে গল্প-কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। সেই থেকেই লেখক সত্ত্বাকে জিইয়ে রেখেছেন মৌরি। ছাত্রজীবনে লেখক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রচনা করেছেন ৪-৫টি উপন্যাস। তিনি আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৮ সালে। মৌরি মরিয়ম এর উপন্যাস ‘প্রেমাতাল’ ২০১৮ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়। ঠিক এর পরের বছর ২০১৯ সালের বইমেলায় তিনি উপহার দেন তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অভিমানিনী’। ‘তোমায় হৃদমাঝারে রাখব’ তার প্রকাশিত তৃতীয় উপন্যাস। এরপর মৌরি মরিয়ম এর বই সমগ্র এর মধ্যে আরও আছে ‘সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর’। খুব অল্প সময়ে মাত্র ৪টি উপন্যাস দিয়ে তিনি পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। মৌরি মরিয়ম এর বই সমূহ পাঠককূল আগ্রহভরে পড়ে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও লেখালেখির জন্য সময় তিনি বের করেই নেন, কেননা বই লেখা মৌরি মরিয়মের নেশা। সারাজীবন তিনি লেখালেখির মধ্যেই থাকতে চান।স স্কুল থেকে ২০০৯ সালে মাধ্যমিক এবং বদরুন্নেসা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ২০১১ সালে। ২০১৫ সালে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। শৈশবকাল থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে মৌরির। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত গল্পের বই পড়তেন তিনি। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ তার। তার লেখক প্রতিভা জাগ্রত হয় স্কুলের ম্যাগাজিনে গল্প-কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। সেই থেকেই লেখক সত্ত্বাকে জিইয়ে রেখেছেন মৌরি। ছাত্রজীবনে লেখক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রচনা করেছেন ৪-৫টি উপন্যাস। তিনি আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৮ সালে। মৌরি মরিয়ম এর উপন্যাস ‘প্রেমাতাল’ ২০১৮ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়। ঠিক এর পরের বছর ২০১৯ সালের বইমেলায় তিনি উপহার দেন তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অভিমানিনী’। ‘তোমায় হৃদমাঝারে রাখব’ তার প্রকাশিত তৃতীয় উপন্যাস। এরপর মৌরি মরিয়ম এর বই সমগ্র এর মধ্যে আরও আছে ‘সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর’। খুব অল্প সময়ে মাত্র ৪টি উপন্যাস দিয়ে তিনি পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। মৌরি মরিয়ম এর বই সমূহ পাঠককূল আগ্রহভরে পড়ে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও লেখালেখির জন্য সময় তিনি বের করেই নেন, কেননা বই লেখা মৌরি মরিয়মের নেশা। সারাজীবন তিনি লেখালেখির মধ্যেই থাকতে চান।


Submit Your review and Ratings

Please Login before submitting a review..