আফিফা পারভীন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মানো এই লেখক উদ্ভিদ বিজ্ঞানে এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বাবা মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ও বই পড়ার নেশাটা রপ্ত করেছেন সেই ছোটবেলা থেকে। ফলশ্রুতিতে, লক্ষীমন্ত মেয়ে হয়েও শুধু পাঠ্যবইয়ের বাইরে বই পড়ার জন্যই প্রায়ই বকা খেতে হতো। সারাদিন মুখের সামনে বই থাকলেও সে বইগুলো পাঠ্যবই হতো কদাচিৎ। মা বলতেন, তিনি নাকি বই পড়তেন না, বই গিলতেন। এই পড়ার নেশার কারণে অল্প বয়সেই জুটেছিলো বই পোকার খেতাব।
পড়ালেখা শেষে গাঁটছড়া বাঁধেন সামরিক কর্মকর্তার সাথে জড়িয়ে যান নিয়ম কানুনে ভরপুর সুশৃঙ্খল এক অভিনব জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে। নিজের মতো করে জীবনে চাওয়া ও পাওয়ার হিসেব মেলানোয় দক্ষ আফিফা পারভীন সংসারের মায়ায় নিজের ক্যারিয়ারকে হাসিমুখে বিসর্জন দেন। অনেকেই বলে ভীষণ বোকামি করেছে ক্যারিয়ার সচেতন না হয়ে। কিন্তু ক্যারিয়ার, উন্নতি, সফলতা এই শব্দগুলো শুনতে সবার কাছে একরকম হলেও ব্যতিক্রমী এই ব্যক্তিত্ব এসবকে অন্যভাবে দেখার চেষ্টা করেন। দিন শেষে স্বামী-সন্তানদের হাসিমুখ ও সফলতাই বেশি কাম্য বলে বেহিসেবী আর বোকা থাকাটাই ভালো মনে করেছেন।
লেখালেখির প্রতি এই মানুষটার আগ্রহটা জন্মেছে খুব কাছ থেকে দেখা অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা তুলে ধরার তাড়না থেকে। আফিফা পারভীন জীবনকে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যেমন দেখেন, তেমনি অন্যের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখার চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগতভাবে নম্র, ভদ্র আর স্বল্পভাষী এ মানুষটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজস্ব জীবনদর্শন মেনে চলেন। মাই লাইফ, মাই রুলস্ - এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী আফিফা উপভোগ করার চেষ্টা করেন জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত, যাতে বেলাশেষে আফসোস না থাকে। ছোট্ট জীবনের এই পথচলায় পিছনে ফিরে তাকালে তিনি একটা কথাই বলেন সমস্ত কিছুর জন্য আল্হামদুলিল্লাহ।