Author : দীপু মাহমুদ
ক্যাটাগরি: ঐতিহাসিক উপন্যাস
0 Rating / 0 Review
নান অর্থ রুটি। আর রুটি দিয়ে রাখা মানুষকে বলা হতো নানকার। সিলেট জেলাতে নানকারদের বাস ছিল। এটা ছিল শোষণের প্রথা। তখন জমিদার আমল। জমিদারের চোখে নানকার মানুষ বলে গণ্য হয়নি। নানকারের কাজের সময়, পরিমাণ কিছুই নির্দিষ্ট ছিল না। জমিদারের মর্জিমাফিক নির্ধারিত হতো সব। এমন বীভৎস আর ভয়ংকর অত্যাচার নানকাররা দীর্ঘদিন মেনে নিল না। বিদ্রোহ করল। সবকিছু হারানো, বেগারিতে আটকা পড়া কঙ্কালসার নানকার দাঁড়াল জমিদারের মুখোমুখি। একক বিদ্রোহ থেকে শুরু হলো, তারপর গ্রামের নানকাররা সংগঠিত হলো। বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ল গ্রাম থেকে গ্রামে। বিদ্রোহ রূপ নিল বিপ্লবে।
নানকার উপন্যাস, ইতিহাস নয়। বলা যেতে পারে ইতিহাসের প্রতিফলন বা ইতিহাস-আশ্রয়ী উপন্যাস। উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয়েছে ১৯৩৭ সালে। তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগ এবং দেশভাগ পরবর্তী সময়। উপন্যাস শেষ হয়েছে ১৯৪৯ সালের ১৮ আগষ্ট।
মর্যাদাহীন, স্বাধীনতাহীন, বাক-অধিকারহীন যুগে যুগে সব মানুষ দাস। সামন্তপ্রভুরা কেবল চেহারা বদলিয়েছে। কখনো জমি, কখনো কল-কারখানা, কখনো ক্ষমতা। অর্থ-ক্ষমতা এদের প্রভু বানিয়েছে। মানুষ হয়েছে ইতর। সে হয়েছে বেগার, হদুয়া, চাকরান, নানকার। মানুষ বাঁচবে মর্যাদা নিয়ে, মানুষ বাঁচবে স্বাধীনভাবে, মানুষ কথা বলবে নির্ভয়ে।
Title | নানকার |
---|---|
Author | দীপু মাহমুদ |
Publisher | কিংবদন্তী পাবলিকেশন |
Number of Pages | 320 |
Country | Bangladesh |
Language | বাংলা |