Author : মোস্তাক আহ্মাদ
ক্যাটাগরি: আধ্যাত্মিকতা ও সুফিবাদ
0 Rating / 0 Review
রূহানী বিজ্ঞান অনুযায়ী সাধক স্বীয় কাশফ বা অতীন্দ্রিয় অনুভূতির মাধ্যমে আল্লাহকে জানতে পারেন। রূহানী বিজ্ঞান তাই স্রষ্টা-সৃষ্টির নিবিড় রহস্য ও তত্ত্ব অনুসন্ধানী বিজ্ঞান। রূহানী বিজ্ঞান ‘রূহ’ তথা আত্মার রহস্য ও স্রষ্টার নিগূঢ় তত্ত্ব সম্পর্কিত আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান। পরমসত্তার স্বরূপ, প্রকৃতি ও গুপ্ত-সুপ্ত উপলব্ধির বোধসম্পন্ন জ্ঞানের দ্বারা মানবাত্মার পরিচয় জানার বিশেষ জ্ঞান। মানবাত্মার সাথে পরমাত্মার সম্পর্ক সৃষ্টির রহস্যজ্ঞাপক। এই রহস্যকে ঘিরেই জগতের পরিব্যাপ্তি। যুগে যুগে রূহানী বিজ্ঞানের সাধক সুফি ও আধ্যাত্মিক পথের অভিযাত্রীরা আত্মসাধনার মাধ্যমে পরমসত্তার সন্ধান করেছেন। রূহ অতি স্বচ্ছ ও জ্যোতির্ময় পদার্থ। এটি বস্তু জগতের কোনো জড় পদার্থ নয়। আলোকরশ্মি থেকে যেরূপ জ্যোতির ছটা বেরিয়ে আসে, অনুরূপ রূহ থেকেও আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে থাকে। রূহের গতি এতই দ্রুত যে, মুহূর্তের মধ্যে কোটি কোটি মাইল অতিক্রম করতে পারে। এ রূহ দ্বারাই মানবদেহ সঞ্জীবিত করা হয়েছে। রূহসমূহকে মহান আল্লাহপাক তাঁর একত্ববাদের বীজ (তাওহীদ) দ্বারা আলমে লাহুতে সৃষ্টি করে থাকেন। তাই রূহ তথা মানবাত্মার পরিচিতি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ঘােষণা হল : ইয়াআনাকা আনির রূহ্,ি কুলির রূহু মিন্ আরি রাব্বী। ওয়ামা উতিতুম মিনাল ইমি ইল্লা কালিলান। সুরা, বনি ইসরাইল, আয়াত : ৮৫ অর্থাৎ (হে নবী!) ‘ওরা রূহ সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, আপনি তাদেরকে জানিয়ে দিন, রূহ আমার মহাপ্রভুর আদেশ মাত্র। আর তোমাদেরকে অতি সামান্যই জ্ঞান দান করা হয়েছে।' রূহানী বিজ্ঞান অনুযায়ী সাধক স্বীয় কাশফ বা অতীন্দ্রিয় অনুভূতির মাধ্যমে আল্লাহকে জানতে পারেন। রূহানী বিজ্ঞান তাই স্রষ্টা-সৃষ্টির নিবিড় রহস্য ও তত্ত্ব অনুসন্ধানী বিজ্ঞান।
Title | রূহানী বিজ্ঞান |
---|---|
Author | মোস্তাক আহ্মাদ |
Publisher | অবসর প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN | 9789848798423 |
Edition | 2018 |
Number of Pages | 263 |
Country | Bangladesh |
Language | বাংলা |